Golden Bangladesh
Eminent People - ফেরদৌসী মজুমদার

Pictureফেরদৌসী মজুমদার
Nameফেরদৌসী মজুমদার
DistrictBarisal
ThanaNot set
Address
Phone
Mobile
Email
Website
Eminent Typeচলচিত্র ও নাটক
Life Style

ফেরদৌসী মজুমদার

ফেরদৌসী মজুমদার প্রতাপশালী বাংলাদেশী অভিনেত্রী। স্বাধীনতা উত্তরকালে টিভি ও মঞ্চে সমান সফলতার সাথে অভিনয় করে আসছেন। ধারাবাহিক নাটক সংশপ্তকে 'হুরমতি চরিত্রে অভিনয় করে তিনি বিপুল প্রশংসা লাভ করেন।

প্রাথমিক জীবন

ফেরদৌসী মজুমদারের জন্ম বরিশালে হলেও তিনি বেড়ে উঠেছেন ঢাকাতে।তাঁর বাবা খান বাহাদুর আব্দুল হালিম চৌধুরী ছিলেন ডিস্ট্রিক ম্যাজিস্ট্রেট। তাঁর ভাইবোন ছিল মোট ১৪ জন যাদের মধ্যে ৮ জন ভাই এবং ৬ জন বোন।সবচেয়ে বড় ভাই কবীর চৌধুরী এবং মেজ ভাই শহীদ মুনীর চৌধুরী।‘দারুল আফিয়া’ নামের বাড়িতে তাঁর শৈশব কেটেছে।তাঁদের পৈতিক নিবাস ছিল নোয়াখালীতে। ফেরদৌসী মজুমদারের পরিবার ছিল খুব রক্ষণশীল।বাড়িতে সাংস্কৃতিক চর্চা ছিল নিষিদ্ধ।তাঁর লেখাপড়া শুরু হয় নারী শিক্ষা মন্দির স্কুল থেকে।এই স্কুলে ক্লাস সেভেন পর্যন্ত পড়ার পর তিনি ভর্তি হন মুসলিম গার্লস স্কুলে যেখান থেকে তিনি ম্যাট্রিক পাশ করেন। তারপর ইডেন কলেজে ভর্তি হন।তিনি ছোটবেলায় খেলাধুলা করতে পছন্দ করতেন এবং একবার ৯৬৬ বার স্কিপিং করে ক্রিস্টালের বাটি পেয়েছিলেন যদিও ফিট হয়ে গিয়েছিলেন তখন। তিনি ছোটবেলা থেকেই মানুষকে ভেঙ্গাতে পারতেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় বাড়িতে ফিরতে সন্ধ্যা হওয়াতে তাঁর বাবা তাঁকে চটি দিয়ে পিটিয়েছিলেন।

অভিনয়ের শুরু

ইডেন কলেজে ইন্টারমিডিয়েট পড়ার সময় তিনি তাঁর বড় ভাইমুনীর চৌধুরী থেকে প্রস্তাব পান একটা নাটকে রোবটের চরিত্রে অভিনয় করার যার নাম ছিল ‘ডাক্তার আবদুল্লাহর কারখানা’।এটি লিখেছিলেন শওকত ওসমান এবং মঞ্চস্থ হয়েছিল ইকবাল হলে যা এখন জহুরুল হক হল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর তিনি পাবলিক লাইব্রেরিতে ‘দন্ড ও দন্ডধর’ নাটকে অভিনয় করেন তাঁর শিক্ষক রফিকুল ইসলামের বিপরীতে।তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা নাটকের ফোরামে তিনি জড়িয়ে পড়েন এবং সন্মানী হিসেবে ৭৫ টাকা পান।এই টাকা দিয়ে তিনি দামী নেটের মশারি কিনলেন । বাসায় তার হারামের পয়সায় কেনা মশারি দেখে তাঁকে অনেক বকাঝকা করেন ।পরে অবশ্য কন্যার কান্না দেখে পরের দিন আবার নিজেই সেই মশারি কন্যাকে খাটিয়ে দেন। তিনি ১৯৭০ সালে মারা যান।তারপর ফেরদৌসী মজুমদার নীলিমা ইব্রাহিমের লেখা ‘তামসি’ নামক নাটকে অভিনয় করেন।বাবা মার অমতে তিনি ১৯৭০ সালের ১৩ই জুন রামেন্দু মজুমদারকে বিয়ে করেন। ১৯৭১ সালের শুরুতে তিনি পাকিস্তানের করাচীতে চলে যান একটা অ্যাডভার্টাইজিং ফার্মে কাজ করতে।পরে ১১ই মার্চ ঢাকায় ফিরে আসেন এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মে মাসে তাঁর পরিবারের সবাই মুনীর চৌধুরী ছাড়া দাউদকান্দি, চান্দিনা হয়ে কলকাতা চলে যান ।

স্বাধীনতার পর

১৯৭২ সালে ‘থিয়েটার’ গঠন করা হয়, যেখানে ছিল আবদুল্লাহ আল মামুন, রামেন্দু মজুমদার প্রমুখ। ফেরদৌসী মজুমদার সেই দলে যোগ দেন।তিনি মোট ২টি সিনেমায় অভিনয় করেন [মায়ের অধিকার’ এবং ‘দমকা’।বাংলাদেশ টেলিভিশনের তিনি প্রায় তিনশ’র মতো নাটক করেন।তাঁর অভিনয় জীবন প্রায় তিন দশকের মতো দীর্ঘ। আবদুল্লাহ আল মামুন ফেরদৌসী মজুমদারকে নিয়ে একটি ৮৬ মিনিটের একটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করেছেন যার নাম ‘জীবন ও অভিনয়’ । তিনি ঢাকার উইল্‌স্‌ লিট্‌ল্‌ ফ্লাওয়ার স্কুলের শিক্ষয়িত্রী ছিলেন। খ্যাতিমান অভিনেতা রামেন্দু মজুমদার তার স্বামী।

উল্লেখযোগ্য নাটক

  • কোকিলারা
  • এখনো ক্রীতদাস
  • বরফ গলা নদী
  • জীবিত ও মৃত
  • বাঁচা
  • অকুল দরিয়া
  • যোগাযোগ
  • সংশপ্তক
  • চোখের বালি
  • নিভৃত যতনে
  • শংখনীল কারাগার
  • এখনও দুঃসময়
  • পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায় 

 তথ্যসূত্র : উইুকপিডিয়া

Rationale
UploaderRaihan Ahamed